Pay করুন, শিখে যান।
সকল কোর্স ছাত্র-ছাত্রীদের উপর পরীক্ষিত, সকল শেখার প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারিত।


অভিভাবকদের জন্য
শিক্ষা নিলেই শিক্ষিত হওয়া যায় না। অশিক্ষিত লোকের শিক্ষা হল মোবাইল ফোনের জন্য খরচ ২০ হাজার টাকা, লেখাপড়ার খরচ ৩০০ টাকা। শিক্ষিত লোকের লেখাপড়ার খরচ শেখার জন্য যে খরচ সেটা। একজন ব্যক্তি লেখাপড়া করে যতই শিক্ষিত হওয়া ভান করুন লেখাপড়ার ধরণই পারিবারিক স্ট্যাটাস এবং আসলেই শিক্ষিত পরিবার কিনা তা বুঝিয়ে দেবে। সবাই শিক্ষা দানের উপযুক্ত নয়। শিক্ষা দিতে শিক্ষার অনুপযুক্তদের বাদ দিতেই হবে। তাই, Pay to Learn—এর আয়োজন সবার জন্য নয়। সবাইকে পরীক্ষা পাশ করানো যায়, কিন্তু সবাইকে চাকরি দেয়া সম্ভব নয়। চাকরি থেকে বেশীর ভাগ লোককে বাদ পড়তেই হবে। সবার জন্য সব কিছু নয়। অশিক্ষিত পরিবার টাকা খরচ করে সন্তানকে শিক্ষিত করবেন না। অশিক্ষিত পরিবারের বৈশিষ্ট্য হল সে না শিখে পাশ করবে এবং মানুষের কাছে শিক্ষিত বলে ভাব নেবে। শিক্ষার গুরুত্ব বুঝে তিনি এটা করেন না তিনি মানুষের কাছে শিক্ষিত বলে ভাব নেয়ার জন্য এটা করেন। শিক্ষা যাদের স্ট্যাটাস শুধুমাত্র তাদেরকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য এই উদ্যোগ।
গরীব মানুষ/ শ্রমিক ব্যক্তির জন্য বাংলা মিডিয়াম। ইংরেজী শেখা প্রয়োজন হলে ইংলিশ মিডিয়াম, ইংলিশ ভার্সন। বাংলা মিডিয়ামের ছাত্রছাত্রী মানে তাদের পিতামাতার ইংরেজীর গুরুত্ব নেই। চাকরিতে ইংরেজী না পারার কারণে বা বাংলা মিডিয়ামে পড়েছে বলে চাকরি দিয়ে দেবে এমনটা হবে না।
ক্লাস নাইন/টেন এর লেখাপড়ার পাতলা বইগুলো শেষ করতে ২ মাসের বেশী সময় প্রয়োজন নয়, যা ছাত্রছাত্রী ২ বছর ধরে পড়ে। ফ্রি পিডিএফ ফাইল থেকে পিতামাতা নিজে শিখে নিন। আপনি শিখে নিলে আপনার সন্তানও বাকি থাকবে না।
আপনার হাতে শেখার সময় নেই? তো, সন্তানের শেখার আশা বাদ দিন। স্কুল পর্যন্ত সন্তানকে শেখানোর দায়িত্ব আপনি নেবেন। টিচার দিয়ে শেখানো সম্ভব না। বিদেশী ভাষা শেখা ব্যয়বহুল বিষয়। কম্পিউটার শেখা ব্যয়বহুল। যাদের পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব নয় বাংলা মিডিয়াম তাদের জন্য।
২০০০ টাকা দেব, একজন ভাল মানে প্রাইভেট টিউটর চাই – এভাবে টিচার পাওয়া যায় না। ইংরেজী শেখাতে বাজেট হবে কমপক্ষে ১ লাখ টাকা।
২০ বছর পর সন্তানের কর্মক্ষেত্রে কি ধরণের দক্ষতা দরকার হবে সেটা জেনে নেবেন। সেটার উপরই সন্তান ইজি বাইক চালাবে, নাকি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট হবে সেটা নির্ভর করবে।
যারা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে তাদের সবার ইংরেজী শেখার প্রয়োজন আছে। ইংরেজী শেখার দরকার নেই এমন ব্যক্তি সেখানে নেই। বাংলা মিডিয়ামে বেশীর ভাগ ব্যক্তির ইংরেজী শেখার প্রয়োজন নেই, দু’এক জনের প্রয়োজন আছে। তাদের জন্য Pay to Learn।
ডাক্তারি পড়াতে খরচ ৩০ লাখ টাকা। পাইলট হতে খরচ ২ কোটি টাকা। বাংলাদেশের সবচেয়ে দামী স্কুলের মাসিক বেতন সাড়ে তিন লাখ টাকা, বছরে খরচ ৪০ লাখ টাকা।
পরীক্ষায় এ+ পেতে বা পরীক্ষা পাশ করতে ইংরেজী শেখা প্রয়োজন নেই। পরীক্ষায় বাদ পড়ার বিষয় আসে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এবং চাকরির পরীক্ষাতে।
গ্রামার শিখলে ইংরেজি পারা যায় কোন বইতেই এরূপ লেখা নেই। যে পুস্তক পাঠ করলে ইংরেজি ভাষা বলতে, লিখতে, পড়তে পারা যায় তাকে ইংরেজি গ্রামার বলে। ইংরেজি বলা, লেখা, পড়া বাংলা মিডিয়ামের সাথে যায় না। এগুলো ইংলিশ মিডিয়াম/ভার্সনের বিষয়।
শিক্ষার খরচ
পাইলট হতে খরচ ২ কোটি টাকা। ডাক্তার হতে খরচ ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে খরচ মাসিক ৩০ হাজার থেকে ৩ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত। ইংলিশ মিডিয়ামে ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়াতে প্রায় আধা কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। ইংলিশ ভার্সনে পড়াতে খরচ মাসিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ইংরেজী শেখাতে বাজেট করতে হবে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা। জ্যামিতি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন বিষয়গুলো শেখার সাথে সাথে পরীক্ষা করারও বিষয় আছে। তাতে অনেক খরচ হয়। গড়ে মুখস্থবিদ্যা দিয়ে কাজ সারলে এসব খরচ প্রয়োজন হয় না।
ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে ম্যলা খরচ এমন আর নয়। আপনার খরচের পরিমাণ আপনার এখন জানা আছে। আরও যাচাই করতে ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকের কাছ জেনে নিন। এবং, দেশের সবচেয়ে দামী স্কুলে পড়াতে মাসিক খরচ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ইউটিউব ভিডিও থেকে জেনে নিন। পাইলট হতে কত খরচ তা—ও টিভি চ্যানেলের সংবাদ আকারে ইউটিউবে আছে।